News

West Bengal DA Update: ডিএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ও ভাস্কর ঘোষের প্রতিক্রিয়া

West Bengal DA Update: ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বললেন, ভাস্কর ঘোষের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যতে ডিএ বাড়ার সম্ভাবনা

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance)। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। এর মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। তাঁর বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সরব হয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।এই প্রতিবেদনে আমরা বিস্তারিতভাবে জানব— ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন, ভাস্কর ঘোষের প্রতিক্রিয়া কী, সুপ্রিম কোর্টে মামলা কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গে ডিএ বাড়ার সম্ভাবনা কতটা।

ডিএ (Dearness Allowance) কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মূলত সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য একটি মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার ভাতা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লে তার প্রভাব সামাল দিতেই ডিএ প্রদান করা হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ৫০ শতাংশের বেশি ডিএ পাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সেই তুলনায় অনেক কম হারে ডিএ পাচ্ছেন। এই ব্যবধানই দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বললেন

সম্প্রতি একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে ডিএ দেওয়া রাজ্য সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এটি সরকারের একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং রাজ্য সরকার নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ডিএ প্রদান করে থাকে।

See also  পশ্চিমবঙ্গে SIR অনলাইন আবেদন|| SIR আবেদন পদ্ধতি, ডকুমেন্টস, সময়সূচি

তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার ধাপে ধাপে ডিএ বাড়িয়ে বর্তমানে প্রায় ১৮ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। তাঁর এই মন্তব্যের পর অনেক কর্মচারীর মধ্যেই হতাশা তৈরি হয়েছে, কারণ ডিএ সংক্রান্ত মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।

কেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ

  • কেন্দ্র ও রাজ্যের ডিএ-র ব্যবধান অত্যন্ত বেশি
  • বহু বছরের বকেয়া ডিএ এখনও পরিশোধ হয়নি
  • ডিএ কোনও দয়া নয়, এটি মূল্যস্ফীতির ক্ষতিপূরণ
  • আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ বকেয়া মেটানো হয়নি

এই কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভাস্কর ঘোষের কড়া প্রতিক্রিয়া

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ডিএ কোনও দান বা অনুগ্রহ নয়, এটি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার।

  • ডিএ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত
  • সারা দেশেই নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে ডিএ দেওয়া হয়
  • বকেয়া ডিএ প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি

ভাস্কর ঘোষ স্পষ্ট করেন যে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য আন্দোলনকে দুর্বল করবে না এবং কর্মচারীরা তাদের দাবি থেকে পিছু হটবেন না।

সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা: বর্তমান অবস্থা

ডিএ সংক্রান্ত মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আদালত আগেই রাজ্য সরকারকে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়ার অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে। তবে চূড়ান্ত রায় এখনও ঘোষণা হয়নি।

এই চূড়ান্ত রায়ের উপরই নির্ভর করছে ভবিষ্যতে ডিএ বাড়বে কিনা এবং বাকি বকেয়া কীভাবে পরিশোধ করা হবে।

কবে বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে ডিএ

  1. রাজ্য বাজেট: বাজেটে ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে
  2. সুপ্রিম কোর্টের রায়: কর্মচারীদের পক্ষে রায় এলে ডিএ বৃদ্ধি বাধ্যতামূলক হতে পারে
  3. রাজনৈতিক চাপ: নির্বাচন ও আন্দোলনের চাপ সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে

কর্মচারী সংগঠনগুলোর মতে, আদালতের রায়ের পর বড় ডিএ আপডেট আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপসংহার

বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ DA আপডেট স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে রাজ্য সরকার ও সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে মতপার্থক্য এখনও মেটেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ডিএ-কে নীতিগত সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন, সেখানে কর্মচারী সংগঠনগুলি একে অধিকার হিসেবে দাবি করছে।

See also  DA Case Supreme Court Update: Latest Order on Pending DA for West Bengal Government Employees

সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ই ঠিক করবে আগামী দিনে ডিএ বাড়বে কিনা এবং বকেয়া ডিএ কীভাবে মেটানো হবে। আপাতত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।

 

Indrajit Mandal

✍ লেখক: ইন্দ্রজিৎ মন্ডল

ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ব্লগার, finance, সরকারি স্কিম ও শিক্ষা প্রযুক্তির সম্বন্ধে শিক্ষামূলক তথ্য শেয়ার করি। 📺 YouTube

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *